Advertising

Ration Card E-KYC: এখন যে কোনো জায়গা থেকে করুন রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি, জানুন অন্য জেলার রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি করার পদ্ধতি

Advertising

রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি কী?

ই-কেওয়াইসি (ইলেকট্রনিক নো ইউর কাস্টমার) হল এমন একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া যা গ্রাহকদের পরিচয় যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষত ব্যাংকিং, ব্যবসা এবং সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। বর্তমানে ভারত সরকার রেশন কার্ডধারীদের জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে, যার মাধ্যমে রেশন কার্ডের ই-কেওয়াইসি যে কোনো জায়গা থেকে করা যাবে। আগে যেখানে রেশন কার্ডধারীদের নিজ জেলার রেশন অফিসে যেতে হতো, এখন সেই প্রয়োজন নেই।

রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি: একটি নতুন সুযোগ

ভারত সরকার রেশন কার্ডধারীদের জন্য এমন একটি পদ্ধতি এনেছে যা সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচায়। যদি আপনি অন্য শহরে থাকেন এবং আপনার রেশন কার্ড অন্য জেলার, তাহলে আপনাকে আর নিজের জেলায় ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। বর্তমান শহরে থেকেই স্থানীয় ডিলারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ করানো যাবে। এতে রেশন কার্ড বাতিল হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

Advertising

ই-কেওয়াইসি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে রেশন কার্ড বাতিল হতে পারে। ফলে আপনার রেশন সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সরকারের নতুন এই ব্যবস্থা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হলে আপনাকে শুধু আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথিপত্র জমা দিতে হবে।

ই-কেওয়াইসি অনলাইনে কীভাবে করবেন?

১. আধার ওয়েবসাইটে যান:

  • আপনার আধার নম্বর দিন।
  • প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
  • ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করুন।

২. নথি আপলোড করুন:

Advertising
  • প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।
  • সাবমিট করুন এবং যাচাইকরণের জন্য অপেক্ষা করুন।

৩. অনলাইন স্টেটাস চেক করুন:

  • আপনার ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সফল হলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবায় এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি করার পদ্ধতি

মোবাইল ব্যবহার করে ই-কেওয়াইসি:

১. ফুড অ্যান্ড লজিস্টিক ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে যান।
২. রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি অপশন সিলেক্ট করুন।
৩. পরিবারের সকল সদস্যের নাম এবং রেশন কার্ড নম্বর পূরণ করুন।
৪. ক্যাপচা কোড পূরণ করুন এবং ওটিপি দিয়ে যাচাই করুন।
৫. বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য আবেদন করুন।
৬. পরিবারের সকল সদস্যের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করুন এবং সাবমিট করুন।

অফলাইনে ই-কেওয়াইসি:

১. ডিলারের কাছে যান।
২. বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য আঙুলের ছাপ দিন।
৩. প্রক্রিয়া সফল হলে আপনাকে একটি কনফার্মেশন পত্র দেওয়া হবে।

ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার সুবিধা

১. সময় বাঁচায়:

  • এখন আর নিজের জেলায় ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

২. খরচ কমায়:

  • ভ্রমণ খরচ বাঁচে।

৩. বায়োমেট্রিক যাচাই সহজ:

  • আপনার বর্তমান অবস্থানে এটি করানো যায়।

৪. সকলের জন্য প্রযোজ্য:

  • এটি বিশেষত প্রবাসীদের জন্য উপকারী।

ই-কেওয়াইসি না করলে কী হবে?

ই-কেওয়াইসি না করার ফলে আপনার রেশন কার্ড বাতিল হতে পারে। সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে দেশের প্রায় ৩৮ কোটি রেশন কার্ডধারীর মধ্যে মাত্র ১৩.৭৫ লক্ষ মানুষ ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন। ফলে যারা এখনও এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি, তাদের দ্রুত এটি সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র

১. আধার কার্ড।
২. প্যান কার্ড।
৩. ড্রাইভিং লাইসেন্স।
৪. পাসপোর্ট।

বিনামূল্যে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া

এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। যদি কোনো ডিলার অর্থ দাবি করেন, তবে তা সরকারের কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।

ই-কেওয়াইসি নিয়ে সরকারী পদক্ষেপ

সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রচার চালাচ্ছে যাতে রেশন কার্ডধারীরা এই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে পারেন। ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার জন্য স্থানীয় ডিলার বা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

আপনার রেশন কার্ড যদি অন্য জেলার হয়, তাহলে রেশন কার্ডের e-KYC কীভাবে করবেন?

আপনার রেশন কার্ড যদি অন্য জেলার হয় এবং আপনি বর্তমানে অন্য কোনো জেলা বা শহরে অবস্থান করছেন, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখন আপনি সহজেই আপনার রেশন কার্ডের e-KYC সম্পন্ন করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে আপনার নিজ জেলা বা গ্রামে ফিরে যেতে হবে না। আপনি যেখানে থাকছেন, সেই এলাকার কাছাকাছি যে কোনো রেশন দোকানে গিয়ে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ (Ration Card e-KYC) করিয়ে নিতে পারেন।

রাজ্যভিত্তিক রেশন কার্ড e-KYC-এর গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কসমূহ

অনেক রাজ্য সরকার তাদের নিজস্ব পোর্টালে রেশন কার্ড e-KYC প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার জন্য লিঙ্ক প্রদান করেছে। এখানে কিছু রাজ্যভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ রেশন কার্ড e-KYC লিঙ্ক দেওয়া হলো, যেখানে আপনি আপনার e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন:

উপরোক্ত লিঙ্কগুলোতে গিয়ে আপনি সহজেই e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। মনে রাখবেন, e-KYC প্রক্রিয়া প্রতিটি রাজ্যে বাধ্যতামূলক এবং নির্ধারিত সময়ে এটি সম্পন্ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অন্য জেলার রেশন কার্ডের e-KYC করার প্রক্রিয়া কী?

(How To Apply Online Ration e-KYC Process)

  1. নিকটতম রেশন দোকানে যান
    আপনার বর্তমান অবস্থানের কাছাকাছি কোনো রেশন দোকানে যান, যেখানে e-POS মেশিনের সুবিধা রয়েছে।
  2. আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড নিয়ে যান
    আপনার সঙ্গে আপনার আধার কার্ড এবং রেশন কার্ড রাখুন। বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের জন্য আধার কার্ডের তথ্য প্রয়োজন হবে।
  3. বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ করুন
    রেশন দোকানে e-POS মেশিনে আপনার আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) দিন। এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি বিনামূল্যে।
  4. সকল সদস্যের যাচাইকরণ করুন
    যদি আপনার রেশন কার্ডে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নাম থাকে, তাহলে তাদেরও বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ সম্পন্ন করতে হবে।
  5. যাচাইকরণের নিশ্চিতকরণ পান
    যাচাইকরণ সফল হলে রেশন দোকানের দিক থেকে আপনাকে একটি নিশ্চিতকরণ দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াটি আপনার রেশন কার্ড সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে এবং এটি বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

e-KYC সম্পন্ন হয়েছে কীভাবে নিশ্চিত হবেন?

(রেশন কার্ডের e-KYC স্ট্যাটাস কীভাবে চেক করবেন?)

  1. রেশন কার্ড e-KYC স্ট্যাটাস চেক করতে প্রথমে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে যান।
  2. ‘Ration KYC Status’ লিঙ্কটি খুঁজুন এবং সেটিতে ক্লিক করুন।
  3. আপনার ১০ অঙ্কের PAN নম্বর দিন।
  4. স্ক্রিনে আপনার e-KYC স্ট্যাটাস প্রদর্শিত হবে।
  5. আপনার স্ট্যাটাস হতে পারে ‘Validated’, ‘Registered’, ‘On-Hold’ বা ‘Rejected’।

e-KYC-এর শেষ তারিখ ২০২৪ সালের মধ্যে কবে?

e-KYC-এর পূর্ব নির্ধারিত শেষ তারিখ ছিল ৩০ জুন ২০২৪। পরে এটি বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ করা হয়েছে। যদি আপনি এখনও e-KYC না করিয়ে থাকেন, তবে ৩১ অক্টোবর ২০২৪-এর আগেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

প্রধান পয়েন্টসমূহ:

  • আপনার নিজ জেলা বা গ্রামে ফিরে না গিয়েও আপনি e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
  • এই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি বিনামূল্যে।
  • যাচাইকরণ না করলে রেশন কার্ড থেকে আপনার নাম বাদ পড়তে পারে, তাই সময়মতো এই কাজটি সম্পন্ন করুন।
  • এটি আপনার সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করবে।

FAQ (প্রশ্নোত্তর):

  1. eKYC কীভাবে চেক করবেন?
    সরকারী খাদ্য সরবরাহ দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেশন কার্ড নম্বর বা আধার নম্বর ব্যবহার করে e-KYC স্ট্যাটাস চেক করুন।
  2. e-KYC কী?
    e-KYC হলো একটি ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়া, যেখানে আধার কার্ডের মাধ্যমে রেশন কার্ডধারীর পরিচয় যাচাই করা হয়।
  3. রেশন কার্ডে লিঙ্ক কীভাবে করবেন?
    খাদ্য সরবরাহ দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে, আধার বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করার অপশন নির্বাচন করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
  4. উত্তরপ্রদেশে রেশন কার্ডের KYC কবে শেষ হবে?
    e-KYC-এর শেষ তারিখ জানতে উত্তরপ্রদেশ খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে নোটিফিকেশন চেক করুন।
  5. আধার এবং রেশন কার্ড লিঙ্ক কীভাবে করবেন?
    খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে আধার নম্বর প্রদান করুন, ওটিপি যাচাই করুন।
  6. রেশন কার্ডে নতুন নাম কীভাবে যুক্ত করবেন?
    ওয়েবসাইটে লগইন করুন, ‘নতুন নাম যোগ করুন’ অপশন নির্বাচন করুন, প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন এবং জমা দিন।
  7. জন আধার কার্ড রেশন কার্ডের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত করবেন?
    খাদ্য সরবরাহ দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘জন আধার যোগ করুন’ অপশন নির্বাচন করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন এবং জমা দিন।
  8. বাড়িতে বসে রেশন কার্ড এবং আধার লিঙ্ক করা যাবে?
    হ্যাঁ, সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে বাড়িতে বসেই রেশন কার্ড এবং আধার লিঙ্ক করা যাবে।
  9. রেশন কার্ডে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কীভাবে যুক্ত করবেন?
    খাদ্য সরবরাহ দফতরের ওয়েবসাইটে লগইন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার অপশন নির্বাচন করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।

পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)

উপসংহার:
রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া রেশন কার্ডধারীদের জন্য একটি বড় সুবিধা। বর্তমান অবস্থান থেকে এটি করানোর সুযোগ অনেকের জন্য সময় ও অর্থ সাশ্রয় করছে। অতএব, সকল কার্ডধারীদের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।

Leave a Comment